খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: আসন্ন ঢাকা-১০ আসনসহ তিনটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন যথাসময়ে হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, করোনার কারণে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হবে, আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও কম হবে। তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য উপনির্বাচন হবে কিনা সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা চিন্তা করেছি খুব ভালো পরিবেশে যেহেতু ভোটার উপস্থিতি কম ছিল, করোনার কারণে ভোটার কম হবে এটা ধরেই নেয়া হয়েছে। তাই করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিং এ কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরগাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় সচিব বলেন, বৈঠকে কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। এই নির্বাচন বন্ধ করলে সুবিধা কী এবং না করলে কী সুবিধা- এসব বিবেচনা করে সব মিলিয়ে ২১ মার্চ নির্বাচন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ভাইরাসের কারণে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা বন্ধ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীরা এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারেন এ আশঙ্কায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত এনআইডি সংক্রান্ত সেবা বন্ধ থাকবে।
সচিব বলেন, ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন যাতে বন্ধ হয় এ ধরনের কোনো অনুরোধ প্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।নির্বাচন কমিশন সচিবের ভাষায় তারা এ বিষয়ে অনেক শ্রম ও টাকা-পয়সা খরচ করেছেন। এখন যদি নির্বাচন বন্ধ করা হয় তাহলে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। নতুন করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করলে তাদের অনেক টাকার অপচয় হবে। এসব কথা চিন্তা করে ভোটের দিন না পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া দেশে করোনাভাইরাস এখনো মহামারী আকারে ছড়াইনি। তাই ভোট হবে।
এসময় সাংবাদিকরা জানতে চান- উপনির্বাচনে এমনিতে ভোটারদের উপস্থিতি কম হয় আবার করোনার কারণে ভোটার সংখ্যা কমে যাবে কিনা এই ধরনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আমরা চিন্তা করেছি খুব ভালো পরিবেশে যেহেতু ভোটার উপস্থিতি কম ছিল, তাই করোনার কারণে ভোটার কম হবে এটা ধরেই নেয়া হয়েছে। তাই করোনার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
এই ভোটের কারণে যদি কেউ সংক্রমিত হয় কিংবা এর সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে এর দায়িত্বে দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন নিবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। প্রতিটি বুথের পাশে ব্যানার থাকবে। কি করণীয় ব্যানারে তার দিকনির্দেশনা থাকবে।
নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী যিনি বেশি ভোট পাবেন তিনি জয়ী হবেন। ভোটার উপস্থিতি কোনো বিষয় না।
এইসব উপনির্বাচন বাদে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছাড়াও যশোর-৬ এবং বগুড়া-১ আসনে নির্বাচন আগামী ২৯ মার্চ হবে কিনা এ বিষয়ে পরে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ২১ মার্চ কমিশন সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০