তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে বোরো রোপনের ব্যস্ত কৃষক। তবে আদিবাসী নারী শ্রমিকরা বৈষম্যের স্কীকার বলে অভিযোগ তুলেছেন। তারা জানান আমরা সারাদিন কাজ করি। পুরুষ শ্রমিকদের সমান কাজ করতে হয় আমাদেরকে। কিন্তু ন্যায্য মজুরী পায় না। জীবনের পুরোটা সময় কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করছি। অথচ আমরা মজুরীর ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছি।
তানোর পৌর এলাকার তালন্দ উপর পাড়া আদিবাসী শ্রমিক রানী কিস্কু (৬০) জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরে এ বৈষম্যের স্বীকার হয়েও বাঁচার তাগিদে কাজ করে যাচ্ছেন ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদিবাসী এই নারী কৃষি শ্রমিক। তালন্দ পার হয়ে রাস্তার পূর্ব দিকে বিলকুমারী বিলের জমি রোপন করতে করতে আক্ষেপ করে তিনি এ কথাগুলো বলেন ।
আজ মঙ্গলবার সেখানে গিয়ে কথা হয় আরো ৬ জন আদিবাসী নারী শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, তাদের দরিদ্রের কষাঘাতে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করে তাদের নামতে হয়েছে কৃষি কাজে। তারা আফসোস করে বলেন, কাজ করেও ন্যায্য মজুরী পায় না আমরা। ৩৫ থেকে ৪০ বছর ধরে কৃষি কাজ করছি। অথচ কৃষি কাজে ব্যাপক পরিবর্তন হলে আমাদের বৈষম্যের পরিবর্তন হয় নি। মনে হয় সমাজে আমরা আজীবন অবহেলিত হয়ে থেকে যাবো।
একই সময় ব্যয় করে একই কাজ করে পুরুষ শ্রমিকরা পায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা আর আমরা পায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আমরা ৬ শ্রমিক সকাল থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দুই বিঘা থেকে আড়াই বিঘা জমিতে চারা রোপন করে থাকি।অন্য দিকে পুরুষ শ্রমিকরা সমান কাজ করে তারা মূল্য পায় বেশি। তারা এই বৈষম্যের প্রতিকার চান।
এনিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, এবারে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে। উপজেলায় নিচুঁ জমিতে চারা রোপন শুরু হয়েছে। আর কয়েক দিনের মধ্যে অনেক জমির চারা রোপন শেষ হবে বলে জানান তিনি। মজুরী বৈষম্যের বিষয়ে তিনি বলেন, পুরুষ ও নারী শ্রমিকরা সমান কাজ করে সেহেতু তাদের মজুরী সমান হওয়া উচিত।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০