তথাকথিত শিক্ষিতরাই বৃদ্ধ বাবা-মা’র প্রতি সীমাহীন উদাসীনতা দেখায়। আর এটি দেখে ব্যথিত হন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক প্রবীণ সম্মেলেনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রবীণ সম্মেলন-২০২১ আয়োজন করে সিনিয়র সিটিজেনস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রবীণদের প্রতি নিপীড়ন ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তিরা বয়োবৃদ্ধ বাবা-মা’র প্রতি সীমাহীন উদাসীনতা প্রদর্শন করছে-যা সবসময় আমাকে ব্যথিত করে। পিতা মাতার প্রতি অবহেলা প্রদর্শনকারী সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনা এখন বাস্তবতার নিরিখে অপরিহার্য।
বাবা-মায়ের ভরণ-পোষণ নিশ্চিতের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ভরণ-পোষণ তথা প্রবীণদের প্রতি নবীনদের দায়িত্ব পালন সকল ধর্মেরই শিক্ষা। সন্তান কর্তৃক
বাবা-মায়ের ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী প্রত্যেক সন্তানকে তার
বাবা-মায়ের ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো
বাবা-মায়ের একাধিক সন্তান থাকলে সেক্ষেত্রে সন্তানরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করবেন।
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা ও বর্তমান সম্মানজনক অবস্থান সৃষ্টির জন্য প্রবীণদের ভূমিকা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, তাই তাদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার ও সমাজের সকল স্তরের মানুষকে অবস্থান থেকে আরও এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের প্রণীত প্রবীণ নীতিমালা
বাবা-মা’র ভরণ-পোষণ আইন পূর্ণ বাস্তবায়নে সমাজের সকলকে ভূমিকা পালন করতে হবে।
সোসাইটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মো.মমতাজ উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০