1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
‘ডালমিয়া না থাকলে শোয়েবের ক্যারিয়ার কবে শেষ হয়ে যেতো!’ - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন

‘ডালমিয়া না থাকলে শোয়েবের ক্যারিয়ার কবে শেষ হয়ে যেতো!’

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারির মধ্যে ঘরবন্দী থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালোই ভারতীয়দের সঙ্গে টক্কর লাগিয়েছেন পাকিস্তানের শোয়েব আখতার। তবে এবার তাকে নিয়ে কথা বলেছেন পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান তৌকির জিয়া।

পিসিবির সাবেক এই বিগ বস জানালেন, আইসিসির প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতের জগমোহন ডালমিয়া না থাকলে অনেক আগেই শেষ হয়ে যেতে পারতো শোয়েব আখতারের ক্যারিয়ার।

২০০০ কিংবা ২০০১ সালেই শেষ হয়ে যেতো শোয়েব আখতারের ক্যারিয়ার। তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল অবৈধ বোলিং তথা ‘চাকিং’য়ের অভিযোগ। কিন্তু ওই সময় ডালমিয়া ছিলেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট। তিনি শোয়েব আখতারের ইস্যুতে পক্ষ নেন পাকিস্তানের। ফলে, তুমুল বিরোধিতা সত্ত্বেও টিকে যান শোয়েব এবং আরও দীর্ঘায়িত করেন তার ক্যারিয়ার।

আইসিসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে গেছেন ডালমিয়া। শুধু ভারতীয় ক্রিকেট নয়, বিশ্বক্রিকেটকেই উচ্চতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া। পাকিস্তানের সাবেক চেয়ারম্যান তৌকির জিয়া অকপটে স্বীকার করলেন, ডালমিয়া পিসিবির পাশেই ছিলেন সব সময়।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাবেক চেয়ারম্যান জানান, সাবেক আইসিসি প্রেসিডেন্ট প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া সাহায্য না বাড়ালে ২০০০-০১ মৌসুমেই শেষ হয়ে যেত শোয়েব আখতারের ক্রিকেট ক্যারিয়ার। ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) পিসিবিকে জানিয়েছিল, স্পিডস্টার আখতারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে তদন্ত করা হবে; কিন্তু বিসিসিআই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট তখন আইসিসির মসনদে। যিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আইসিসির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ডালমিয়াই শোয়েবের ক্যারিয়ার লম্বা করেন।

তৌকির জিয়া বলেন, ‘জগমোহন ডালমিয়া তখন আইসিসির সভাপতি। তিনি ছিলেন যথেষ্ট প্রভাবশালী। শোয়েব আখতারের বোলিং অ্যাকশন মামলায় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আখতারের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ছিল বলে আইসিসি সদস্যরা জোর দিলেও তিনি আমাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।’

১৯৯৯ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত পিসিবি-র চেয়ারম্যান ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল তৌকির জিয়া। তিনি আরও বলেন, ‘ডালমিয়া পিসিবিকে সমর্থন করায় অবশেষে আইসিসি স্বীকার করে নিয়েছিল যে, আখতারের জন্মের পর থেকেই তার বোলিংয়ের চিকিৎসার ত্রুটি ছিল। যার ফলে তার হাইপার কনুই প্রসারিত হয়েছিল। এরপর শোয়েবকে খেলতে দেওয়া হয়েছিল।’

ডালমিয়ার কারণে ‘চাকিং’ মুক্ত হয়ে আবারও পাকিস্তানের জার্সিতে খেলার সুযোগ পান শোয়েব। শুধু খেলেননি, বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের রাতের ঘুম কেড়ে নেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। ওই ঘটনার পর এক দশক দাপটের সঙ্গে খেলে যান তিনি। ১৯৯৭ সালে রাওয়াপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হওয়া আখতার শেষ টেস্ট খেলেছেন ভারতের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে। এই সময়ের ব্যবধানে দেশের হয়ে ৪৬টি টেস্টে ১৭৮ উইকেট নেন আখতার।

টেস্ট থেকে অবসর নেয়ার পর আরও চার বছর সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেছেন শোয়েব। ২০১০ সালে শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন। ওয়ানডে খেলেছেন ২০১১ পর্যন্ত। ২০১১ বিশ্বকাপ চলাকালীন অবসরের কথা ঘোষণা করেন কিংবদন্তি এই পাক পেসার।

কলম্বোয় অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে শোয়েব ঘোষণা করেন, ‘এই বিশ্বকাপই তার শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। যদিও অবসর ঘোষণার আগেই দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেন আখতার। বিশ্বকাপে পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই শেষবার পাকিস্তানের জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। মোট ১৬৩টি ওয়ানডে ম্যাচে ২৪৩টি উইকেট নেন পাকিস্তানি এই গতি তারকা।’

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST