গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ মোটর সাইকেল হারানোর জিডি করতে গিয়ে দুই যুবক কে ঘাড় ধরে ধাক্কা ও হাত ধরে টেনে হিঁচড়ে বের করে দিলো গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ।
গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সারাংপুর গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে রায়হান ও ভগবন্তপুর গ্রামের সোহাগ জানান, বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিাল ২০১৮) বেলা ১২ টার দিকে রায়হানের একটি মোটর সাইকেল হারিয়ে যায় গোদাগাড়ী সদর আজাদ সুপার মার্কেট হতে। অনেক খুঁজাখুজি করে না পাওয়াই বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে গোদাগাড়ী থানায় একটি জিডি করার জন্য যাই। জিডি লিখার জন্য ওয়ারলেস অপারেটরের কাছে যাই সে গোদাগাড়ী থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মোঃ মানিকের কাছে গিয়ে মোটর সাইকেল হারিয়ে গেছে মর্মে জিডি করবো বলে জানাই। এএসআই মানিক বলে জিডি করার আগে থানায় দায়িত্বে থাকা এসআই মাসুদ করিমের কাছে যেতে বলে। রায়হান ও সোহাগ তার কথা মতো এসআই মাসুদ করিমের কাছে গিয়ে বিষয়টি খোলামেলা করে বললে তারা দুই জনকেই বারান্দায় দাঁড়াতে বলে দ্বোতালায় চলে যাই কিন্তু আসতে দেরী হয় সেই এসআই মাসুদ করিমের।
এরই মাঝে গোদাগাড়ী মডেল থানার পুলিশ সদস্য আবুল কাশেম তাদের দুজনকে বলে এই আপনারা কি জন্য এখানে দাঁড়িয়ে আছেন সরেন এখান হতে। তারা দুজন জিডি করতে এসেছে জানায় এবং নিজেরদের পরিচিতির জন্য একজনের নাম বললে পুলিশ সদস্য আবুল কাশেম উত্তেজিত হয়ে বলেন সরেন এখান হতে কাউকে চিনি না , এই বলে সোহাগের ঘাড় ধরে ধাক্কিয়ে বের করে দেয় আর রায়হানের হাত ধরে টান দিয়ে ছেঁচড়াতে ছেঁচড়াতে বের করে দেয়। এই সময়টা ডিউটি অফিসার এএসআই মানিক তা দেখেও কিছু বলেনি বলে রায়হান ও সোহাগ জানান।
তারা পুলিশের এই পরিস্থিতি দেখে কোন উপায় না পেয়ে দ্রুত থানা এলাকা ত্যাগ করে।
ডিউটি অফিসার মোঃ মানিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্য আবুল কাশেম ওই সময় আসামী নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত ছিলো তারা থানার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলো তাই এই সময় হয়তো কিছু উচ্চবাচ্য হয়েছে। ঘাড় ধরে টেনে বের করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এসব দেখিনি আর যদি করে থাকে তাহলে সেটা বেশী করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেন।
ডিউটি অফিসার এএসআই মানিকের কাছে পুলিশ সদস্য আবুল কাশের মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে তিনি বলেন আসামী নিয়ে তিনি রাজশাহী চলে গেছে সে ফোন রিসিভ করবে না ব্যস্ত আছে। বারবার এই পুলিশ অফিসারের কাছে পুলিশ সদস্য কাশেমের মোবাইল নং চাওয়া হলে তিনি তা দিতে রাজি হয়নি।
এই বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) আলতাফ হোসেন বলেন, আমি কাজে রাজশাহীতে আছি বিষয়টি জানানেই আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি বলে মন্তব্য করেন।খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০