রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার জালালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ-দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে ভুমি অফিসে গিয়ে জানা গেছে, তার ঘুষ-দূর্নীতির রসের হাসির তথ্য। এসময় এক ভুক্তভোগীর নিকট থেকে নেয়া ঘুষের টাকা ফেরত দিতে আর্তি জানায় নায়েব আমিরুল। তবে ঘুষের টাকা ফেরত না নিয়ে এর নায্য বিচার দাবি করেন ওই হত-দরিদ্র বয়োবৃদ্ধ ভুক্তভোগী।
অভিযোগে জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলাধীন জালালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব আমিরুল ইসলাম খাজনার দাখিলার জন্য (ভূমি উন্নয়ন করের রশিদ) সরকার নির্ধারিত ফ্রি’র চেয়েও অতিরিক্ত টাকা আদায় করলেও রশিদ দিচ্ছে সরকারি হিসাবেই। চেংটারচর গ্রামের হত-দরিদ্র আর্দশ আলীর সাড়ে ১১ শতাংশ জমির খাজনার দাখিলার জন্য ৪ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু হত-দরিদ্র আর্দশ আলীর পক্ষে এতো টাকা দেয়া সম্ভব হবে না জানালে তাকে কাজ না করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। পরে বাধ্য হয়ে ১৩ মার্চ দপুরে ধার-দেনা করে ৩১শ টাকা দিয়ে খাজনার চেক সই করতে দেয়া হয়। অথচ খাজনা দাখিলায় ০৯২১৫৩২ নং রসিদে ৩৬৭ টাকা এবং ০৯২১৫৩৩ নং রশিদে ৪৮৭ টাকা জমার চেক দেয়া হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নায়েব আমিরুল ইসলাম অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে এই প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে এবং ওই হত-দরিদ্রের ঘুষের টাকা ফেরত দিতে চায়। এদিকে নায়েব আমিরুল ইসলাম যোগদানের পর থেকেই জালালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া খাজনা, খারিজ, পর্চাসহ অন্যান্য ভূমি সংক্রান্ত কোন কাজ হয় না বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জমির নামজারি (নাম খারিজ) করতে মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে। এছাড়া নামজারি, ডিসিআর ও দাখিলার নামে এখানে ঘুষ না দিলে কাজ হয় না এমন অভিযোগও উঠেছে। এব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাফিজ সরকার বলেন, জালালপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আমিরুলের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০