খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। তাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে রিট হলে নির্বাচন কমিশনকে আগামী সোমবারের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জামায়াতের নেতারা যদি অবৈধ হতেন, তাদের প্রতীক দেয়া যদি বেআইনি, তাহলে নির্বাচন কমিশন কেন তাদের প্রতীক বরাদ্দ দিল?’
শনিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে জামায়াতের তো কোনো প্রার্থী নেই। তারা শুধু ধানের শীষের প্রতীক না, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। এজন্য তাদের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হয়েছে। জামায়াত থেকে এসব ব্যক্তিদের মনোনীত করা হয়নি, বিএনপি করেছে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পদ-পদবি থাকুক। আপনি (সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে) যদি মনোনয়ন চান, আমি যদি উচিত মনে করি, আপনাকেও মনোনয়ন দিতে পারি। কোন ওয়েবসাইটে আপনার নাম কিভাবে আছে, সেটাতো পরের ব্যাপার।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা আইনে দিতে পারি কি না সেটা হলো পয়েন্ট। জামায়াত রেজিস্টার্ড পার্টি না। কারা কারা জামায়াত করে, তাদের তালিকাও আমাদের কাছে নাই। যারা আমাদের মনোনয়ন চেয়েছে, আমরা যাদের মনোনয়ন দিয়েছি। তারা আমাদের দলের প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছেন। এটা যদি অবৈধ হতো, তার প্রার্থিতা অবৈধ হলে নির্বাচন কমিশন বলতো, তারা অবৈধ। তাদের প্রতীক দেয়া যদি বেআইনি হতো, তাহলে যখন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হলো, তখন আমাদের নির্বাচন কমিশন জানাতো। তা না করে কেন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হলো?’
তিনি বলেন, ‘কাজেই নির্বাচন কমিশন একটা বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ কথায় কথায় বলে, নির্বাচন কমিশন যা করবে, আমরা তাদের কাজে কোনো বাধা সৃষ্টি করব না। তাহলে তারা কেন এখন পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে?’
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০