খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: লঞ্চ থেকে ঢাকায় নেমেই এক ছেলের চিকিৎসার জন্য বাবা ছুটলেন শ্যামলী শিশু হাসপাতালে। পাঁচ মাসের আরেক সন্তানকে নিয়ে মা রিকশাযোগে ফিরছিলেন শনির আখড়ায় বোনের বাসায়। ভোরের ফাঁকা রাস্তায় দ্রুত বেগে চলছিলো রিকশাটি। হঠাৎ ২-৩ জন ছিনতাইকারী রাস্তায় এসে হেঁচকা টান দিলো মায়ের হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ। আচমকা টানে চলন্ত রিকশায় মায়ের কোল থেকে পড়ে যায় শিশুটি। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ব্যাগ নিয়ে কেটে পড়ে ছিনতাইকারীরা। নিচে মা তাকিয়ে দেখেন তার ফুটফুটে শিশুটির প্রাণ যায় যায় অবস্থা।
সোমবার ভোরে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ এলাকায়। রাস্তায় পড়ে শিশুটি গুরুতর জখম হওয়ার পর তৎক্ষণাৎ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ৭টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আরাফাত নামের ওই শিশুটির মায়ের নাম আকলিমা, বাবা শাহ আলম।
এই দম্পতির আরও এক সন্তানের নাম আল আমিন (২০)। তারা শরীয়তপুর সদরের নরসিংদীপুরের বাসিন্দা। ভোরে লঞ্চযোগে শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় এসেছিলেন তারা।
সন্তানহারা মা আকলিমা বলেন, ‘আমার বড় ছেলে আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। লঞ্চ থেকে নেমেই তাই তার বাবা আল আমিনকে নিয়ে শ্যামলী শিশু হাসপাতালে যায়। অন্যদিকে আমি আরাফাতকে নিয়ে রিকশাযোগে শনির আখড়ায় বোনের বাসায় যাচ্ছিলাম। আমাদের রিকশা দয়াগঞ্জে পৌঁছালে ২-৩ জন ছিনতাইকারী হঠাৎ ভ্যানিটি বেগে টান দেয়। ’
কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও বলেন, ‘ছিনতাইকারীদের হেঁচকা টানে কোল থেকে আমার আরাফাত পড়ে যায়। তারা আমার ব্যাগ কেড়ে নিয়েছে। আমার কলিজার টুকরাকেও কেড়ে নিয়েছে। ’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি গেন্ডারিয়া থানার মধ্যে হয়েছে কি-না জানার চেষ্টা করছি।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০