বাংলাদেশ চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ (বিআরআই) উদ্যোগের অংশ, তবে ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনায়ও অংশগ্রহণের আগ্রহ রয়েছে তার। চীন ও ভারতের মধ্যে ঢাকা কাউকে বেছে নেবে না বা পক্ষ নিতে যাবে না। মঙ্গলবার লন্ডনভিত্তিক একটি থিংক ট্যাংকের আয়োজনে ভার্চুয়াল সেমিনারে অংশ নিয়ে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। খবর দ্য প্রিন্টের।
সেমিনারে আরও অংশ নিয়েছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক ডেপুটি উপদেষ্টা পঙ্কজ সরণ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) দক্ষিণ এশিয়া গবেষণা প্রকল্পের প্রধান রাহুল রায় চৌধুরী।
গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে চীন গুরুত্বপূর্ণ অংশ ঠিকই, তবে তা কোনোভাবেই ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করার মতো নয়।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং আপনি এর চেয়ে ভিন্ন কিছু কল্পনা করতে পারবেন না। অন্যভাবে চিন্তা করা আত্মঘাতী হতে পারে।
এসময় ‘ব্লু ইকোনমি’ বা সামুদ্রিক অর্থনীতি নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। তিনি জানান, এটি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বঙ্গোপসাগর দ্রুতই ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের ভিত্তি হয়ে উঠছে।
সেমিনারে ভারত-বাংলাদেশের দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিস্তা নদীর পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানে কতটা অগ্রগতি হয়েছে?
জবাবে গওহর রিজভী বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে তিস্তা অন্য অনেক ইস্যু থেকে আমাদের বিচ্যুত করছে।
তিস্তা ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অর্ধশতাধিক অভিন্ন নদী রয়েছে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমাদের অববাহিকা-বিস্তৃত ব্যবস্থা নিয়ে ভাবা উচিত, যেন দুই দেশই একে অন্যের ক্ষতি না করে উপকৃত হতে পারে।
এ সময় ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে ১৯৯৬ সালে গঙ্গা পানি চুক্তির কথা মনে করিয়ে দেন ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক ডেপুটি উপদেষ্টা পঙ্কজ সরণ। তিনি বলেন, আমরা তিস্তা নদীর পানিবণ্টনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ইস্যুতে ঢাকার সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে।
জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০