চারঘাট প্রতিনিধি: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্নে রয়েছে একটি বড় পুকুর। সরকারী এই পুকুরটি শলুয়ার দহ নামে পরিচিত । শলুয়া ও দৌলতপুর গ্রামবাসী এই পুকুরের ভাঙনের কবলে পড়েছে। শলুয়া দহ পাড়ের বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, শিগগির প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে গ্রামের অনেকটা অংশ পুকুরে বিলীন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে দুই গ্রামের ৩০ জন গ্রামবাসী জমির দাগ,খতিয়ান ও পরিমান উল্লেখ কওে চারঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং উপজেলা মৎস কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শলুয়া ও দৌলতপুর দুই গ্রামের মাঝখান দিয়ে পুকুরটি প্রবাহিত হয়েছে। সরকারীভাবে পুকুরটি লিজ প্রদান করা হয়েছে। লিজ গ্রহীতারা পুকুরের পাড় সংস্কার না করে ব্যাপক ভাবে মাছ চাষ করায় দুই পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে ঘর-বাড়ি,গাছ ও কৃষি জমি।
আরো জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবত ভাঙন চলমান থাকায় অনেকের জমি সম্পূর্ণ অংশই পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দুই পাড়ের কৃষিজীবীরা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানিয়ে কতৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসী।
পুকুর পাড়ের বাসিন্দা সাইদুর রহমান জানান, পুকুরে মাছ চাষ শুরুর পর থেকে অতিরিক্ত সার ও কিটনাশক ব্যবহারের কারনে দুই পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে অনেকের জমি বিলীন হয়ে গেছে। মৌখিক ভাবে জনপ্রতিনিধিসহ অনেককে জানালেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এজন্য প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আনিসুর রহমান বলেন, শলুয়ার পুকুরের বিষয়ে একটা লিখিত আবেদন পেয়েছি। সরেজমিন বিষয়টা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০