খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ‘হাওয়া ভবন’থেকে তারেক রহমান পরিচালনা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তারেক রহমান ওই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ২১ আগস্ট হামলায় নিহত আইভি রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।
খবর২৪ঘন্টা/নই
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ওই হত্যকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে জজ মিয়ার নাটক সাজিয়ে, আলামত নষ্ট করেছে, এফবিআইকে তদন্ত করতে দেয়নি। কারণ এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলো হাওয়া ভবন। হরকাতুল জিহাদের মুফতি হান্নান বলেছিলো বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে যা কিছু ঘটেছিলো তা হাওয়া ভবন থেকে পরিচালনা করেছে তারেক রহমান। ইতিহাসের এই সত্যকে অস্বীকার করবেন কিভাবে?’
জিয়াউর রহমানকে ছোট করা হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে ফখরুল সাহেব বলছেন তাদের নেতাকে নাকি ছোট করা হয়েছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনারা একাধিকবার ক্ষমতায় থেকেও কি জিয়া হত্যার বিচার করেছেন? বিচার তো করেনইনি এমনকি একবারও বিচার দাবি করেননি। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিহত জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের আগেপরে এবং ওই সময়ে তাকে নিয়ে আমাদের অনেক প্রশ্ন ছিলো। তারপরও কিন্তু আমাদের নেত্রী, আমাদের পার্টি সেদিন জিয়াউর রহমানের হত্যার নিন্দা করেছিলাম। কারণ আমরা জিয়াউর রহমানের এভাবে চলে যাওয়া সমর্থন করিনি।’
‘ফখরুকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, জিয়াউর রহমানের লাশ চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজ, রামুনিয়ার পাহাড় হয়ে ঢাকায় এলো। জানাজা হলো। চন্দ্রিমা উদ্যানে সমাহিত করা হলো। এই সময়ে একটা ছবি জিয়াউর রহমানের নিহত হওয়ার পর আপনি কি দেখাতে পারবেন? এই প্রশ্নটির জবাব চাই।’
৭৫ এর ১৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এ দুটি হত্যকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা এবং একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ২১ আগস্ট ছিলেন শেখ হাসিনা।’
‘আজকে একটা বিষয় বলতে চাই, ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রশ্রয় আশ্রয় না দিতো, বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত না করতো এবং মোস্তাকের ইনডেমনিটি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করে খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ না করতেন, খন্দকার মোস্তাকের যদি বেনিফিসিয়ালি হয়ে প্রধান সেনাপতি না হতেন; তাহলে হয়তো ইতিহাসকে ভিন্নভাবে দেখা যেতে পারতো। এখানে খুন যে করে, খুনিদের যারা প্রশ্রয় দেয়, পুরস্কৃত করে, বিচারের পথ যারা রুদ্ধ করে; তারা একই অপরাধী।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘অনেকে রাজনৈতিক সম্পর্কের কথা বলেন। দলে দলে সম্পর্ক..এই ব্যাপারে শেখ হাসিনাই হলো সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। কারণ তার গোটা পরিবারকে যারা হত্যা করেছিলো, কেউ মঞ্চে কেউ নেপথ্যে; আজকে এই ঘটনা থেকে কি হলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে অলঙ্ঘনীয় দেয়াল পারস্পরিক সম্পর্কের সৃষ্টি করা হলো। ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যাকে টার্গেট করে সেই অলঙ্ঘনীয় দেয়াল আরও উঁচুতে তুললো। সম্পর্ক কারা নষ্ট করলো?’
‘শেখ হাসিনার ওয়ার্কিং আন্ডারস্টান্ডিং গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বেগম জিয়াকে ২০১৪ সালে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন গণভবনে। সেদিন অশ্রাব্য ভাষায় কি ব্যবহার করা হলোছিলো সবার মনে আছে।’-যোগ করেন সেতুমন্ত্রী।
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০