গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিয়ের দাবিতে সারাদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে এক প্রেমিকা। জানা গেছে গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষ্ণ বাটি কালিদিঘি গ্রামের দরিদ্র কৃষক এন্তাজ আলীর মেয়ে ইসমতারা খাতুনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন উপজেলার ফরাদপুর গ্রামের মৃত এমদাদুল হকের ছেলে খাইরুল ইসলাম। বর্তমানে মেয়েটির পরিবার বিয়ের জন্য ছেলের পরিবারকে চাপ দিলে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন ছেলেটি। ফলে বুধবার সকালে প্রেমিক খাইরুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান নেন ইসমতারা। সেই থেকে বিয়ের দাবিত্র প্রেমিকের বাড়িতে রয়েছে ইসমতারা।
এ বিষয়ে ইসমতারা বলেন, আমরা রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করি। গত চার বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক তারপর মাঝেমাঝে আমাদের দৈহিক সম্পর্ক হয়। এর আগে গত দেড় বছর আগে আমি খাইরুল ইসলামের বাড়িতে জানালে তার মা দেলখোস বেগম এবং মামা আব্দুল কাদির আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেন। আজ সকালে বিয়ের দাবীতে খাইরুলের বাড়ী আসলে তার মা ও ভাই আমাকে মেরে বাড়ী থেকে বের করে দেই তারপর থেকে বাড়ীর বাইরেই বসে আছি। খাইরুলের সাথে বিয়ে না দিলে আমি এখান থেকে যাব না।
এ বিষয়ে খায়রুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খাইরুল ইসলামের মা দেলখোস বলেন আমার ছেলের সাথে এই মেয়ের কোন ধরনের সম্পর্ক নাই শুধু একই ক্লাসে পড়ে বলে বই হ্যান্ডনোট ইত্যাদি লেনদেন হতো তারা ভাল বন্ধু মাত্র।
মাটিকাটা ইউনিয়নে পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আজম তৌহিদ প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অবস্থানের কথা নিশ্চিত করে জানান উভয় পরিবারের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেমতলি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল বারী বলেন, একটি মেয়ে ফরাদপুর এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন ছেলের মায়ের কাছে শুনেছি। তবে কোন অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০