গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কানকহাট এলাকার রসুলপুর কুমেদপুর (রাজরামপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের মারামারিতে গুরুতর আহত হয়ে এক শিক্ষক রাজশাহী মেডেকিলে কলেজের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কাতরাচ্ছে।
এই ঘটনায় ওই স্কুলের শিক্ষক মোঃ আজিজুল হক কে কাকনহাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ আমিনুল ইসলাম আটক করে পুলিশ হেফাজতে রেখেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সোমবার স্কুল শিক্ষকদের গোদাগাড়ী উপজেলায় সাব ক্লাস্টারের প্রশিক্ষনের দিন ধার্য ছিলো কিন্তু হঠাৎ করে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে উপজেলা শিক্ষা অফিস হতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসকে জানিয়ে দেওয়া হয় এবং নিয়মিত ক্লাস চালাতে বলে। সকালে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সকল শিক্ষকদের বিষয়টি অবহিত করে এবং স্কুল খুলে ক্লাস চালাতে থাকে।
ওই স্কুলের শিক্ষক মোঃ আজিজুল হক প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্দেশ্য করে বলেন আমি প্রধান শিক্ষক হলে স্কুল চালাতাম না। প্রতি উত্তরে প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন আমি সরকারের চাকর যে ভাবে দিক নির্দেশনা দিবে সেই ভাবে স্কুল চালাবো এতে আমার কিছু করার নেই।
এসব কথা বার্তার মধ্যে গত রমজান মাসে স্কুলের টিউবয়েল বসালে সেখানে টাইলস বসানোর কাজ করানো হয় এবং কাজ শেষ না হয়ে টাইলস এর ঘাটতি পরে। সেই সময় আজিজুল হক নামের ওই শিক্ষক কাছে বাড়ী হওয়াতে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক নামের সহকারি শিক্ষক কিছু টাইলস বাড়ী নিয়ে গেছে যা এলাকাবাসী সূত্রে জানতে পেরেছেন। এসব কথাও সোমবার সকালে উঠে আসে এবং প্রধান শিক্ষিকার সাথে আজিজুল নামের শিক্ষক বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
এই সময় ওই স্কুলের অপর সহাকরি শিক্ষক মোঃ আলমেস আলী বলে ভাই আপনি যে টাইলস নিয়ে গেছে তা গ্রামবাসী দেখেছে। এই সময় আজিজুর হক নামের শিক্ষক আলমেসের উপর চড়াও হয়ে গালি দিয়ে বলে, ওই সালা তুই বেশী বকছিস কেন তোকে মারলে কি হবে রে?। অন্যদেরকেউ মেরেছি কিছু করতে পারেনি তোকেউ মারবো এই বলে তাকে ধরে কলি ঘুষি মারতে থাকে। আজিজুল নামের শিক্ষকের হাতে চাবি ও কলম থাকায় তার চোখে মুখে চরম জখম করে ও রক্তপাত হয়।
এই সময় প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস থামানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। চাবি ও কলমের আঘাতে আলমেস নামে শিক্ষকের মুখ কেটে গিয়ে চারটি শেলায় পড়ে বলে পুলিশ ও প্রধান শিক্ষক জানায়। বর্তমানে রোগীকে সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছে সে একাধিক বার বোমী করেছে বলে জানান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, আমি এই স্কুলে ৬ মাস আগে যোগদান করেছি। এর আগেও ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকসহ দুই জনকে মারধর করার নজির আছে। সে স্থানীয় হওয়ার সুবাদে খুব দাপট দেখাও সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।
প্রেমতলী ফাঁড়ির এসআই মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মারধরের ঘটনা শুনে স্কুলে গিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করে নিয়ে এসেছি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্রই মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানান।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০