গোদাগাড়ীতে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণঃ বিচারের নামে কালেক্ষেপন
গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত যুবকের স্থানীয় ভাবে বিচার করা হবে বলে আশ্বস্থ করলেও তা কলেক্ষেপন করে বারবার দিনপার করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
এতে করে ওই ছাত্রী মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। খাওয়া-দাওয়া এমনকি বাড়ীর বাইরে হতে বের হতে পারছেনা ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রী। এতে করে তার মা- বাবাও দুশ্চিন্তায় আছে মেয়ে কখন কি করে বসে বলে।
জানাযায়, গোদাগাড়ী সদর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের জনৈক এক নবম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সারাংপুর পুলিশপাড়া গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে সাইকেল মেকার রনি (২৫) এর সাথে সাত মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত ১৭ জানুয়ারী বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ওই ছাত্রীর বাসায় দেখা করার নাম করে বাড়ীতে প্রবেশ করে।
সেই সময়ে তার পিতা কৃষক হওয়াই মাঠে ডিপের যোগানের কাজে চলে যায় আর মা ঔষধ আনতে বাজারে ডাক্তারের কাছে যায়।
ওই ছাত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়ে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিয়ে বলে আজ আমি যা বলবো তা শুনতে হবে। কোনদিন কোন কিছু বলিনি।
এই বলে ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিছানায় ফেলে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী চেচামেচী শুরু করলে তার মা সহ আশেপাশের লোকজন চলে আসে।
এই সময় অভিযুক্ত রনি বাড়ীর জানালা ভেঙ্গে দ্রুত পালিয়ে যায় ফাঁকা মাঠ দিয়ে।
এই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে ধর্ষক রনি ও রনির পিতার কাছে অভিযোগ দিলে তারা বসে মিমাংসা করে নিবে বলে আশ্বাস দেয়।
গোদাগাড়ী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর উপস্থিতে গত ১৮ জানুয়ারী বিচারে বাসার কথা থাকলেও সেদিন বসে নি।
পরে গোদাগাড়ী আয়েশা সাবের দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল খালেক ধর্ষকের পক্ষ হতে দায়িত্ব নিলেও গত ২০ জানুয়ারীও বসেনি।
এছাড়াও স্থানীয় রুহুল মহরী বারবার বসার সময় দিলেও তা বসে নি। সর্বশেষ রোববার ২১ তারিখ বসে বিচার করার কথা থাকলেও তাদের লোকজন নেই বলে না বসার টাল বাহানা শুরু করে।
ধর্ষিত ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন আমার মেয়ের সর্বনাশ করে ওরা বিচার করার নামে টালবাহানা করছে আমি এর বিচার চাই। তিনি বলে অনেক বলার পরেও তারা বিচার করল না, তাই আজই রবিবার রাতে গোদাগাড়ী মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করব বলে জানায়।
গোদাগাড়ী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আজ রবিবার বিচারে বসার কথা ছিলো কিন্তু ছেলের পক্ষ হতে জানিয়েছে তাদের লোকজন না থাকায় বসা হবে না। অন্য দিন বসবো তবে কোন নির্দিষ্ট দিন দেয় নি।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( তদন্ত) আলতাফ হোসেন বলেন অভিযোগ পেলেই দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০