খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস সংক্রামণ রোধে দেশের মানুষকে বড় ধরনের গণজমায়েত এড়িয়ে চলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৯ মার্চ) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম।
সম্প্রতি ইতালি থেকে দেশে আসা দু’জনের মাধ্যমে তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরে সরকার প্রধানের কাছ থেকে এ নির্দেশনা এলো।
করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জেনারেল যে ইনস্ট্রাকশন সেটা হলো অযথা গ্যাদারিং যেগুলো অ্যাভয়েড করতে হবে। যে কারণে রিসিডিউল করতে হচ্ছে অনেক প্রোগ্রাম।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক গ্যাদারিং হয় এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কালকে (রোববার) শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন, ওনাকেও ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছে যে কোনোভাবেই ম্যাস গ্যাদারিং না হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যাতে কোনোভাবে আর স্প্রেড করতে না পারে গর্ভমেন্ট সে দিকে খুব স্ট্রং নজর দিচ্ছে।
স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হবে কিনা-প্রশ্নে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, না, সেই রকম পরিস্থিতি হয়নি। আমার আবেদন এরকমভাবে আতঙ্ক ছড়ানোর কোনো যুক্তি বা ভিত্তি নেই।
করোনা ভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষের কর্মসূচির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকে চারটার সময় মিটিং আছে। রোববার যৌথ কমিটির অনেক লম্বা মিটিং হয়েছে। সেখানে বাস্তবায়ন কমিটিকে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বিকেলে বিস্তারিত বলে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী কী নির্দেশনা দিয়েছেন এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, নির্দেশনা- প্রটোকল অনুযায়ী ব্যবস্থা হয়েছে, কোয়ারেন্টানের ব্যবস্থা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। শুধুমাত্র যে নির্দেশনা সেটা হচ্ছে- যতোটা সম্ভব আমরা বড় গ্যাদারিং এড়িয়ে চলবো, সেটা নির্দেশনা।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, করোনা ভাইরাস যখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষত চীনে হয়েছে তথন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আমরা গ্লোবাল সোসাইটিতে আছি। চীন বা অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের কারণে প্রথম থেকেই প্রস্তুতি আছে।
তিনি বলেন, সবসময়ই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকে, অ্যাড্রেস করে কী করতে করতে হবে সেসব বিষয়ে নির্দেনা নিয়ে থাকেন। চীন থেকে যখন ছাত্রদের নিয়ে আসা হলো তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছিলাম।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো- এটা যেহেতু একটা ছোঁয়াছে রোগ এবং এটা এভাবে ছড়ায়, আমাদের যে কর্মকৌশল তিন পর্যায়ে। যাতে দেশে না আসে, যদি আসে তাহলে কীভাবে ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল করবো যে একজন থেকে আরেকজনে না ছড়ায় সে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তৃতীয় পদক্ষেপ হলো যদি কিনা প্রাদুর্ভাব হয় সেটা কীভাবে ম্যানেজ করবো। সবসময়ই আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ও তার গাইডেন্স অনুযায়ী করে থাকি। পাবলিক হেলথ পার্ট আমাদের দেশে খুবই স্ট্রংগার অন্যান্য বিষয়ের তুলনায়।
‘উনি বলেছেন যে এখন আমাদের কী করতে হবে, আপনাদের কাছে যে অনুরোধটা আমাদের মাধ্যমে উনার- সেটা হলো যে আমরা যেন আতঙ্কিত না হই। কারণ এটা একটা ভাইরাস।’
আসাদুল ইসলাম বলেন, এটা নিয়ে আমাদের আকঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পৃথিবীতে এ ঘটনা ঘটেছে তারা ম্যানেজ করছে। আমরা মিডিয়া থেকে জানতে পারছি এতো লোক আক্রান্ত হয়েছে, এতো লোক মারা গেছে। কিন্তু যেটা কম শুনেছি সেটা হলো কতো লোক সুস্থ হয়ে গেছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০