খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি সম্ভব ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে সাজানো মামলায় বন্দি করার মূল কারণই ছিল, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বেগম জিয়া বাইরে থাকলে ভোট ডাকাতির এ রকম নির্বাচন সম্ভব ছিল না। তিনি জীবনে কখনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। পাঁচটি ও সবশেষ তিনটি আসনে তিনি বাংলাদেশের যে প্রান্ত থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, সেখানেই তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই জনপ্রিয়তাই তার জন্য কাল হয়েছে। তার এই জনপ্রিয়তা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারেনি আওয়ামী লীগ প্রধান ও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। তাই তিনি কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নন—এমন সব অভিযোগ ও মামলায় সুপরিকল্পিতভাবে তাকে সাজা দিয়ে বন্দি করে রেখেছে সরকার। বেগম জিয়ার মামলায় জামিন নিয়ে টালবাহানা করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মহাভোট ডাকাতির পর গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে শিকল পরানো হয়েছে। বিরোধী দলগুলোর ওপর সর্বপ্রকার রাষ্ট্রীয় নৃশংস সন্ত্রাস চালিয়ে এবং সব ধরনের নোংরা কৌশল অবলম্বন করে জনগণের ভোটাধিকার ছিনতাই করেছে। মানুষের বিশুদ্ধ নিশ্বাস নেয়ার জন্য গণতন্ত্রের মুক্ত বাতাস প্রবাহিত করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত হবে।
পোশাক শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সরকার—এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, মালিক-শ্রমিকদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশের অর্থনীতির মূলচালিকা শক্তি পোশাক শিল্প এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে তা মালিকদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সরকারের ব্যর্থতা গত কয়েক দিন ধরে ফুটে উঠেছে। ভুয়া ভোটের সরকার পোশাক শিল্পকে নিয়ে বিপজ্জনক খেলায় মেতেছে।
রিজভী বলেন, পোশাক শ্রমিক আন্দোলন দমাতে হত্যা, লাঠিচার্জে ক্ষত-বিক্ষত করা ও ব্যাপক গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সমাধান আসবে না।
চালের দাম বৃদ্ধির কড়া সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। গত কয়েক দিনেও চালের দাম ফের বেড়েছে। এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা। সরকারদলীয় সিন্ডিকেটের লোকেরাই কারসাজি করে এই দাম বৃদ্ধি করেছে। ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা বলে একসময় ভোট চাইলেও বর্তমানে মোটা চালের দামও পঞ্চাশ টাকার নিচে নয়।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০