বিশেষ প্রতিবেদক :
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দু’দিন টানা বৃষ্টিপাতের পর আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজশাহীর পথঘাট। খাঁ খাঁ রোদে যেন পুড়ে যাচ্ছে রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলা। খরতাপে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। সকাল থেকেই পড়ছে তীব্র রোদ। রোদের কারণে মানুষ বাইরে বের হতে পারছেন না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বের হচ্ছেন না। তবে শ্রমিক ও দিনমজুরদের বাধ্য হয়েই রোদের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। তারা পরিবারের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দেওয়ার জন্য
রোদ উপেক্ষা করেই কাজ করছেন। ঘামে শরীর ভিজে যাচ্ছে। তারপরও কাজ করছেন তারা। গত কয়েকদিন ধরে এই উত্তপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই কাজ করছেন তারা। তাই রাজশাহীর মানুষ একটু স্বস্তি পেতে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য দোয়া করছেন। যাতে রাজশাহীর আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যায়।
শিশু ও কিশোররা প্রচন্ড গরম থেকে রক্ষা পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পুকুরে গোসল করছে। নগরীর বিভিন্ন পুকুর ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। লোডশেডিংয়ে মানুষ আরো সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। বিশেষ করে নগরীর হড়গ্রাম এলাকার আশেপাশে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফায় অন্তত ১৫ বার বিদ্যুৎ টানা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে হড়গ্রাম নেসকোর ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর সাথে
কথা হলে তিনি বলেন, কাজ করার জন্য এমন হয়েছে। এতবার বিদ্যুৎ টানার কথা নয়। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৬৮ শতাংশ।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০