খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে দেশের টেলিভিশন নাট্যাঙ্গন প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কোনো এলাকা শাটডাউন করা হবে কিনা জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, এই মুহূর্তে কোথাও শাটডাউন করার সিদ্ধান্ত হয়নি, প্রয়োজন হলে যে কোনো জায়গায় সেটি হতে পারে।
‘দেশে প্রচুর প্রবাসী চলে এসেছেন। অনেক জায়গায় দেখা গেছে তারা মানুষের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের মধ্যে কারো করোনা ভাইরাস থাকলে অন্যদের সংক্রমণ হবে। এ সমস্ত ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। তবে এই সিদ্ধান্ত আজ একেনেকে হয়নি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ জানাবো, এ নিয়ে গুজেব ছড়াবেন না। একটি গুজব ছড়ানো হয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতালের ৪ জন ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছে। এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করলে সরকার আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
‘বোম্বে ও কলকাতায় শুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও দেশগুলো নিজেদের করোনা মুক্ত রাখতে পারেনি। ইতালি ও স্পেনের মতো উন্নত দেশে পরিস্থিতি ভয়াবহ। তবে চায়না নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। আমাদের দেশে সরকারের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এক কোটি মানুষ বিদেশে থাকে, ইউরোপে করোনা ভাইরাস ব্যপকতা লাভ করার পর প্রবাসীরা দেশে ফিরলে, তাদের মাধ্যমে দেশে কোরনা ভাইরাস এসেছে।’
তিনি বলেন, দেশকে মুক্ত রাখার জন্য নানা পদক্ষেপ ও নির্দেশনা দেওয়ার পরও অনেক প্রাবাসী তা না মানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস যাতে আরো ছড়িয়ে না পরে, সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। অন্যান্য যে জনসমাগম হয় এসব সীমিত করা প্রয়োজন, দেশকে দুর্যোগ থেকে রক্ষা করার জন্য। দেশকে রক্ষা করতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনেক প্রবাসী বিশেষ করে ইউরোপ থেকে এসেছেন, তারা সরকারের আদেশ মানছেন না। দেশকে রক্ষা করার জন্য পরিবারের স্বার্থে সবারই এ নির্দেশনা মেনে চলা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্যানিক সৃষ্টি করার কোনো কারণ নেই।
সাক্ষাতপর্বে নাট্যকার মামুনুর রশীদ বলেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে কয়েক হাজার কর্মী কাজ করছে। বন্ধ করে দিলে টেলিভিশনের স্বাভাবিক অনুষ্ঠানমালা বিঘ্ন হবে। মিডিয়াতে প্রচুর সংখ্যক কর্মী আছে, যারা দিন আনে দিন খায় মতো অবস্থা, তাদের কথা বিবেচনায় আনতে হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত ১৩টি সংগঠনের সাথে বসে নেবো, কবে থেকে কর্মবিরতিতে যাব। সব সংগঠন যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসে ২২ তারিখ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতিতে যাবো।
খবর২৪ঘন্টা/নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০