খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক: চলতি বছরে করোনা ভাইরাস ও বন্যার কারণে কর্মসংস্থানের ঝুঁকিতে থাকা লোকের সংখ্যা মোট কর্মসংস্থানের ২০ দশমিক ১০ শতাংশ হবে। অন্যদিকে করোনা ও বন্যায় দেশে দারিদ্র্যের সংখ্যা ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশ হবে। অর্থাৎ এই সময়ে নতুন করে ১ কোটি ৭৫ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়বে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সিপিডি, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, আরডিআরএস বাংলাদেশ ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে ‘করোনা ও বন্যা মোকাবিলায় ত্রাণ কর্মসূচি: সরকারি পরিষেবার কার্যকারিতা শীর্ষক’এক ভার্চুয়াল সংলাপে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যা ও করোনা এসডিজি বাস্তবায়নকে কিছুটা বাধাগ্রস্ত করবে। এটা এসডিজি বাস্তবয়নে বড় ধরনের প্রভাব রেখে যাবে। পাশাপাশি আগে এসডিজি বাস্তবায়নে যে বাধা ছিল, বর্তমানে করোনা ও বন্যার কারণে এই বাধার হার আরও বেড়ে যাবে।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমানে দেশের নীতিগত পর্যায়ে কিছু পরিবর্তন এসেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের মনোভাবের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আবার তৃণমূলের জনগণও তাদের অধিকার নিয়ে সচেতন হয়েছেন। করোনা ও বন্যা জাতীয় সমস্যা। এই সমস্যা মোকাবিলায় সরকারকে জাতীয়ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার এরই মধ্যে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে তথ্যপ্রবাহ অবাধ করতে হবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, করোনা ও বন্যায় দেশের রংপুর বিভাগের দারিদ্র্যের হার আরও বাড়বে। এবারের বন্যায় রংপুর বিভাগের ২৯ শতাংশ ভূমি প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষদের জন্য সরকার বিভিন্ন সহায়তা দিয়েছে। এসব সহযোগিতা, বিশেষ করে জিআই চাল ও ৫০ লাখ পরিবারের জন্য নগদ সহায়তার বিষয়টি এই গবেষণায় আমলে নেওয়া হয়েছে।
ড. ফাহমিদা আরো বলেন, এই সহযোগিতা অনেক সময় সঠিকভাবে সঠিক লোকের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। এ ক্ষেত্রে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আন্তরিকতা থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে অনেক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব ছিল। কোনো কোনো স্থানে পছন্দ এবং দলীয় লোকদের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে- এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি দেশের অনেক স্থানে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা অনেক ঝুঁকির মধ্যেও বিভিন্ন ত্রাণ সহযোগিতা করেছেন। তবে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর যৌথভাবে কাজ করা প্রয়োজন। তাদের কাজের মাঝে সমন্বয় থাকা প্রয়োজন।
অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর দত্ত বলেন, বর্তমানে আমাদের করোনা ও বন্যার মতো বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই দুর্যোগে ৫৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে অক্সফাম বাংলাদেশ তার সীমিত ক্ষমতা নিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। বক্তব্য রাখেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম, রংপুর জেলা প্রশাসক মো. আসিব আহসান। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র গবেষক মোস্তফা আমির সাব্বিহ।
খবর২৪ঘন্টা/নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০