নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলে চাপা ক্ষোভ থাকলেও বিদ্রোহী থেকেই যাচ্ছে রংপুর জাতীয় পার্টির (জাপা) ঘরে।
জাপার মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের জানান, চারটি কারণে এরশাদের নিজ ঘরেই বিদ্রোহের আগুন। এগুলো হচ্ছে- পারিবারিক আবেগ, বঞ্চনা,নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা আর একাধিক নেতার মেয়র প্রার্থী মোস্তফাকে ঠেকানোর চেষ্টা। আর বিএনপিতে ত্যাগী নেতার মূল্যায়ন না হওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তা প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন যুবদল সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজু। এছাড়া মনোনয়ন না পাওয়ার ক্ষোভ রয়েছে খোদ সরকারি দল আওয়ামী লীগেও। নৌকার পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করলেও এখনো মাঠে নামেনি দলটির জেলা কিংবা মহানগর নেতারা।
অনুসন্ধানে জাতীয় পার্টির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানান, জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার রংপুর-১ আসনের (গঙ্গাচড়া) এমপি ছিলেন। এছাড়া জেলা জাপার আহ্বায়কসহ একাধিক পদ দীর্ঘদিন তার দখলে ছিল। এরশাদের ভাতিজা হিসেবে দলের একটি অংশ সব সময় তার পক্ষে ছিল। জাপার কেউ কেউ মনে করছেন, এরশাদের অবর্তমানে পরিবারের পক্ষ থেকে রংপুরে দলের হাল ধরার কেউ নেই। তাই আসিফ আশা করেছিলেন, তার বড় আব্বা (এরশাদ) দলের চেয়ারম্যান তাকেই মনোনয়ন দেবেন।
এছাড়া নেতা-কর্মীরা জনান, আসিফ এক সময় গঙ্গাচড়া আসনের এমপি ছিলেন। বর্তমানে গঙ্গাচড়া আসনের এমপি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা। আগামী নির্বাচনে আসিফ গঙ্গাচড়া আসনের টিকিট পাবেন কিনা, এ নিয়েও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। অনেক ভোটারের মুখে শোনা গেছে, গঙ্গাচড়া আসনটি নিষ্কন্টক রাখতেই আসিফকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামিয়ে ব্যস্ত রাখা হয়েছে, যাতে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে গঙ্গাচড়া আসন নিয়ে আসিফ মাথা না ঘামান। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, জাপার একাধিক নেতা মনেপ্রাণে চাইছেন না মোস্তফা সিটি করপোরেশনের মেয়র হোক। সেই মহলটির ইঙ্গিতেই আসিফ নির্বাচন করছেন, যাতে জাতীয় পার্টির ভোট ভাগাভাগি হয় এবং মোস্তফা হেরে যান।
এ বিষয়ে জাপার মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, দলে কোনো বিভেদ নেই। আসিফ জাতীয় পার্টির ভোটে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবেন না।
আসিফ শাহরিয়ার জানান, আমি দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় পার্টি করছি। দলের ভেতরে আমার ইমেজ রয়েছে। আমি সেই ইমেজকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
এদিকে, শনিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও যুবদল সভাপতি নাহমুল ইসলাম নাজু।
এছাড়া দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার ক্ষোভ এখনো কাটেনি আওয়ামী লীগে। দলীয় প্রার্থী ঘোষণা হলেও মাঠে নেই দলটির জেলা কিংবা মহানগর নেতারা। যদিও মহানগর কমিটির সাধারন সম্পাদক জানিয়েছেন, প্রচারনা শুরু হলে মাঠে নামবেন তারা।
নির্বাচনে ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিস ।
খবর ২৪ ঘণ্টা.কম/জন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০