রাজশাহীর পুঠিয়ায় নবনির্বাচিত পৌর মেয়র আল মামুন খানের বিরুদ্ধে এক স্বাস্থ্যকর্মী (২৭) কে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এক পর্যায়ে ওই স্বাস্থ্যকর্মী অন্তঃসত্ত¡া হয়ে গেলে আগত সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়রের লোকজন তাকে তুলে এনে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ মেয়রের ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে ওই স্বাস্থ্যকর্মীতে উদ্ধার করেছেন।
ভূক্তভোগি ওই স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, আমার বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলায়। আমি পুঠিয়া সদরের একটি ক্লিনিকে কাজ করতাম। বর্তমানে ঢাকায় একটি সরকারী হাসপাতালে সেবিকা হিসাবে কাজ করছি। পুঠিয়ায় কাজ করার সময় বর্তমান মেয়র আল মামুন
খান বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো। ঢাকায় আসার পরও তিনি মাঝে মধ্যে এখানে আসতো। বর্তমানে আমি সন্তান সম্ভাবা। আগত সন্তানের পিতৃত্বের দাবি করলে সে আমাকে পুঠিয়ায় আসার কথা বলে। তার কথা মত রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে পুঠিয়ায় আসামাত্র কয়েকজন যুবক আমাকে জোর করে মেয়রের চেম্বারে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে গর্ভপাত করাতে চাপ দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রোববার সন্ধ্যার দিকে পুঠিয়া টিভিএস মটরস্ এর পেছনে মেয়রের চেম্বার থেকে একটি মেয়ের চিৎকার চেচামেচি শোনা যায়। পরে সেখানে লোকজন গেলে মেয়রসহ তার লোকজন প্রত্যক্ষদর্শীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এর কিছুক্ষন পর পুলিশ এসে ওই মেয়েকে একটি অটোরিক্্রা করে ও মেয়রকে পুলিশ ভ্যানে তুলে থানার দিকে যায়। এরপর রাতে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ মেয়রকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত মেয়র আল মামুন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় খবর পেয়ে মেয়রের ব্যাক্তিগত অফিস থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। রাত ১১ টার দিকে ওই মেয়ে বাদী হয়ে মেয়রকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৩ তারিখÑ১১-০৪-২০২১ ইং। সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালে ওই মেয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর মেয়রকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধারের সময় তাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০