খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার ঘোষণা দিয়ে রাখাইনে জাতিগত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সোমবার সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, গত সপ্তাহে চারটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায় জাতিগত রাখাইন বিদ্রোহীরা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে রাখাইন রাজ্যটি অবস্থিত। বাংলাদেশ সীমান্তঘেষা এ রাজ্যে সহিংসতা দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি সেখানে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের সঙ্গে আরাকান আর্মি’র (এএ) মধ্যে বেশ কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। আরাকানকে জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর জন্য অধিকতর শায়ত্ত্বশাসনের দাবিতে আন্দোলন করছে আরাকান আর্মি।
মিয়ানমারের সবচেয়ে দরিদ্র ও অবহেলিত এলাকাগুলোর মধ্যে রাখাইন অন্যতম। এখানে জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষ চরম আকারে। ২০১৭ সালে আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি’র (আরসা) চালানো হামলায় নিহত হয়েছিলেন কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। এর বদলা নিতে ওই বছরের ২৫শে আগস্ট রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংস নির্যাতন শুরু করে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধরা। এ নির্যাতনের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে কমপক্ষে সাত লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেন বাংলাদেশে। সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে জাতিনিধন, গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো।
সর্বশেষ রাখাইনে সহিংসতা হয় সেখানকার স্বাধীনতা দিবসে গত শুক্রবার। ওইদিন ভোরের আগেই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বুথিডাং শহরে চারটি পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় জাতিগত রাখাইন বিদ্রোহীরা। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ হামলায় অংশ নেয় কয়েকশত জঙ্গি। এতে ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। আহত হয়েছেন ৯ জন। পরে সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওদিকে আরাকান আর্মি তাদের তিনজন যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে। তারা অভিযোগ করেছে, পুলিশ স্টেশনকে ব্যবহার করে সেনাবাহিনী ভারি গোলা চুড়েছে তাদের দিকে।
সরকারের মুখপাত্র জাওয়া হতাই রাজধানী ন্যাপিডতে সাংবাদিকদের বলেছেন, এরই মধ্যে ওই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান চালাতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে প্রেসিডেন্টের অফিস। সোমবার জাতিসয়ঘের মানবাধিকার বিষয়ক এজেন্সি বলেছে, গত কয়েক সপ্তাহের সহিংসতায় প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে রাখাইনে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মানুষজনকে দেখা গেছে বিভিন্ন মঠে ও অন্যান্য স্থানে অস্থায়ী তাঁবু পেতে অবস্থান করছে। ক্রসফায়ারের ফলে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে সদ্যজাত শিশু ও তল্পিতল্পা।
খবর ২৪ঘণ্টা/ জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০