ভারতের ঐতিহাসিক নকশাল আন্দোলনের পীঠস্থান নেপাল সীমান্তঘেঁষা নকশালবাড়ি। আজ শুক্রবার বিকেলে এখানেই এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বললেন, ‘এবার উল্টে দিন, পাল্টে দিন, বিজেপিকে হারিয়ে দিন।’
নেপাল সীমান্তঘেঁষা এই নকশালবাড়িতে একসময় নকশাল আন্দোলন শুরু করেছিলেন বিপ্লবী নেতা চারু মজুমদার, কানু সান্যালরা। নকশালবাড়ি থানা দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত।
এখানে দাঁড়িয়ে মমতা বললেন, ৫ বছরে আমাদের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী দেশ লুট করেছেন। নোট বন্দী করে পাহাড় লুটেছেন। তাই আর মোদিকে নয়। এবার উল্টে দিন, পাল্টে দিন, বিজেপিকে হারিয়ে দিন। কেন্দ্রে গড়ুন নতুন সরকার। মমতা বলেন, ‘আমরা দাঙ্গা, খুনের সরকার চাই না। আমরা শান্তি চাই। আমরা চাই না পাহাড় আর সমতলের মানুষের বিভেদ। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই। আমরা বিভেদে বিশ্বাস করি না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। আমরা জানি, পাহাড় ভালো থাকলে সমতল ভালো থাকে। তাই আমরা পাহাড়ের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
মমতা প্রশ্ন করেন, ২০১৪ সালে এই মোদি পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়েছিলেন। ভোটে জেতার পর কি তিনি গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়েছেন? মোদি তো গত নির্বাচনের প্রচারে এসে বলেছিলেন, বন্ধ চা–বাগান খুলে দেওয়ার কথা। তিনি কি খুলে দিয়েছেন বন্ধ চা–বাগান? তাই আজ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে এক হয়ে পাহাড়ের উন্নয়নে ব্রতী হয়েছে তৃণমূল।
মমতা মোদির উদ্দেশে আরও বলেছেন, ‘এই চৌকিদার ঝুটা হ্যায়। আসল চৌকিদারকে আমরা সম্মান করি।’ তিনি বলেন, এখানে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের বোঝাপড়া হয়েছে। তাই ওদের একটিও ভোট নয়। ভোট দিন আমাদের জোড়াফুলে। তিনি এ কথাও বলেছেন, এবার বিজেপি গোটা দেশে ১২৫টির বেশি আসন পাবে না। এবার এই বাংলাই দিল্লির সরকার গড়বে। মোদি আর ফিরতে পারবেন না। তিনি বিদায়ী (এক্সপায়ারি) প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: প্রথম আলো
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০