অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রাতভর ইসরায়েলের বিমান হামলায় আরও দুই সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রেস ফ্রিডম গ্রুপ এমএডিএ। গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে দায়িত্ব পালন করছিলেন সারি মানসুর এবং হাসুনেহ সেলিম। সে সময়ই তারা হামলায় নিহত হন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি, চারজন ইসরায়েলি এবং একজন লেবাননের নাগরিক। ১৯৯২ সাল থেকে বিভিন্ন সংঘাতে সাংবাদিক হতাহতের তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশ করে আসছে সিপিজে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯৯২ সালের পর থেকে যে কোনো সংঘাতে যত সাংবাদিক নিহত হয়েছেন গত এক মাসে গাজায় তার চেয়ে বেশি সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরের আল আমাল হাসপাতালে বিদ্যুৎ এবং পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গত ৬ দিন ধরে ওই হাসপাতালটি পানি এবং বিদ্যুৎ ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
পুরো গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে সেখানকার বেশিরভাগ হাসপাতালেই খাবার, পানি, জ্বালানি এবং ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বেশির ভাগ হাসপাতালের কার্যক্রমই বন্ধ হয়ে গেছে।
উত্তর গাজার পর এবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর ছাড়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে একেবারে নির্মূল করে ফেলাই হচ্ছে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ হাজারই শিশু।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০