খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: আর্থিক অবস্থার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) স্বাধীন চেয়ারম্যান (হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগপ্রাপ্ত) খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তার মতামত দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) তারা আপিল বিভাগে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেবেন।
রবিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করীম।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, কোম্পানিটির অবসায়নে একটি পিটিশন ছিল হাইকোর্টে। হাইকোর্ট ১৯ জানুয়ারি একটি অর্ডার দিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কিছু ডিরেকশন ছিল। এ কোম্পানির যে চেয়ারম্যান আছেন তাকে অপসারণ করে সেখানে ইব্রাহিম খালেদ সাহেবকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির ডিরেক্টরসহ কর্মকর্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হবে। তাদের পাসপোর্টগুলো সিজ হবে। এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং আপিল বিভাগে আবেদন করে। হাইকোর্টে যে মামলা করেছিল ইতিমধ্যে তার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আজকে শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশ দিয়েছেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে বক্তব্য প্রদান এবং কোর্টে তাকে হাজির হতে হবে। একইসাথে আদালতের নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খালেদ সাহেবকেও লিখিত বক্তব্য দিতে এবং আসতে বলা হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের বাস্তবিক পক্ষে অর্থনৈতিক অবস্থা কী রকম আছে, অবসায়ন হওয়ার মতো অবস্থায় আছে কি না, আর্থিক অনিয়ম হলে কোন পর্যায়ে আছে, অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়ে সামগ্রিক অবস্থা তারা দুজন তুলে ধরবেন বলে জানান আহসানুল করীম।
ওই কোম্পানির আমানতকারীদের আবেদনের পর ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান, এমডি, বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ১৩ পরিচালকের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ করতে বলা হয়। এছাড়া প্রশান্ত কুমার(পিকে) হালদারের মা, স্ত্রী, ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার, দুই কাজিন অমিতাভ অধিকারী ও অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এরফানউদ্দিন আহমেদ এবং বন্ধু উজ্জল কুমার নন্দীর ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২০ জনের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন।
হাইকোর্ট যাদের সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ করা এবং বিদেশ যাবার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তারা হলেন- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এমএ হাশেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জী, পাপিয়া ব্যানার্জী, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, আবুল হাসেম, মো. রাশেদুল হক, পি কে হালদার, তার মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুষ্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, কাজিন অমিতাভ অধিকারী ও অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরফানউদ্দিন আহমেদ এবং পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জল কুমার নন্দী।
প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০