দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে। কেজি প্রতি এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ টাকা বেশি দরে।
বাড়তি দাম সোমবার (১ আগস্ট) থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা দাম কেজিপ্রতি ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে এক কেজি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকায় বিক্রয় হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এ দাম বাড়ানোর পরও সরকারকে প্রতি কেজি সারে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের মতে ডিএপি সারে শতকরা ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক হিসেবে দেখা যায় ২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ১৬ লাখ টনের বেশি। তবে সে অনুযায়ী ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমেনি। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন, যা বর্তমানে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন লাগছে।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০