নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ১২ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে ৫১ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-দপ্তর-বিভাগে ব্যাপক রদবদল চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৫১ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়েছে । এসব বদলির আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার কথাও বলা হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-দপ্তর-বিভাগে ব্যাপক রদবদল চলছে। এর মধ্যে বুধবার সফর রাজ হোসেনকে প্রধান করে পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যায় দেশের পুলিশি ব্যবস্থা। এক মাস পার হলেও পুলিশি ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি। বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মনোযোগ বা কার্যক্রম মূলত বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন ঘিরেই চলছে। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হচ্ছে।
গত ১২ই সেপ্টেম্বর জারি করা পুলিশ সদর দপ্তরের প্রজ্ঞাপনে পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলির তালিকায় নাম রয়েছে আরএমপি'র ১১ জন কর্মকর্তার নাম। এদেরকে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়েছে।
আরএমপি'র বদলি-পদায়ন প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন মো: হুমায়ুন কবির ইন্সপেক্টর( নিরস্ত্র), মো: সিদ্দিকুর রহমান ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো: তৌহিদুর রহমান ইন্সপেক্টর( নিরস্ত্র), এদেরকে বদলি করা হয়েছে নৌ পুলিশে। শেখ মো: মোবারক পারভেজ ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) কে এপিবিএন, সোহরাওয়ার্দী হোসেন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), মো: মইনুল বাশার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) ও কমল কুমার দেবনাথ ইন্সপেক্টর( নিরস্ত্র) কে সিআইডি, মো: রফিকুল হক ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), মো: মামুনুর রশীদ ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) কে ট্যুরিস্ট পুলিশ, মো: ইসমাইল হোসেন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), ও মোহাঃ মনিরুজ্জামান ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) কে হাইওয়ে পুলিশে এবং মো: এমরান হোসেন ইন্সপেক্টর(নিরস্ত্র) কে রেলওয়ে রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। আরএমপি'র এই সমস্ত বদলি-পদায়ন পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে সমালোচিত ছিলেন সোহরাওয়ার্দী, এমরান ও হুমায়ুন কবির। এরা বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় ঘুষ বাণিজ্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ও সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা, টাকার বিনিময়ে বড় মামলা কে ছোট মামলা এবং টাকা না দিলে ছোট মামলা কে বড় মামলায় রূপান্তর ও থানা গুলোকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের পার্টি অফিসে পরিণত করা হয়েছিল। এরা স্বৈরাচার সরকারের দোসর হিসেবে বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এইদিকে, যে সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে জুলাই-আগষ্টে মানবতা বিরোধী অপরাধ সহ ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি করে শত শত ছাত্র-জনতা কে হত্যা করা ও হাজার হাজার মানুষ কে আহত করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদের পদায়ন ও বদলি করা নিয়ে জনমনে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের দাবি অপরাধী পুলিশ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শুধু মাত্র বদলি করলে জনগণের মনে পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যে অসন্তোষ জমা হয়েছে তা কাটানো যাবে না।
বিএ...
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০