ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে বগুড়া-৪ এবং ৬ আসনের উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তার ভাষ্য, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু দেখেছি। কিন্তু ফলাফলের জায়গায়ে গণ্ডগোল করেছে; ভোটের ফলাফল পাল্টে দিয়েছে।
বগুড়ার দুই আসনে নির্বাচনে পরাজয়ের পর বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সদরের এরুলিয়ায় তার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম এসব অভিযোগ করেন।
এসময় সাংবাদিকদের তিনি অভিযোগ করে বলেন, সবাই বলেছেন আপনি পাস করেছেন। ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন। আমার এতো ভোট গেল কই? ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলছে, মশাল জিতে গেছে; এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি।. আওয়ামী লীগের লোকজনও আমাকে ভোট দিয়েছেন। দল নয়, আমাকে ভালোবেসে অনেকে ভোট দিয়েছেন। ওই ভোট গেল কই? এই ফলাফল আমি মানি না।
আলোচিত এ ইউটিউবার আরও বলেন, এসব অনিয়মের বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দিইনি। তবে ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই ফলাফল দিয়েছে প্রশাসন। এই কেন্দ্রগুলোয় কতগুলো ভোট পাইলাম, তাতো জানালো না আমাকে।
কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আমাকে মেনে নিতে চায় না। তারা ভাবে আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে হিরো আলমকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হবে। আমাকে জিততে দেওয়া হয়নি।
হিরো আলম আরও অভিযোগ করেন, 'ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠ দেখেছি। কিন্তু ফলাফলে জায়গায়ে গণ্ডগোল করেছেন। ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। সদরের ভোট নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। সদরের লাহেরি পাড়ায় আমার এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি। তানসেনের কোনো নাম-গন্ধই ছিল। তাকে পাস করানো হয়েছে।
আশরাফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, মহাজোটের মশাল মার্কা কোনো কেন্দ্রে ভোট ৫০০ পেলে, আমি ২৮ ভোট পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শহরের মধ্যে আমি একটু আশঙ্কায় ছিলাম। এই কারণে বাসায় সংবাদ সম্মেলন করছি।
বগুড়া-৪ আসনে ফলাফলে হিরো আলম ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে মশাল প্রতীকের কাছে হেরেছেন। তবে বগুড়া-৬ আসনে তিনি ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়েছেন।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০