বাংলাদেশ যেন কারও মুখাপেক্ষী না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান শেষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের সম্পদ দিয়ে নিজেদের গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশে যেহেতু জায়গা অল্প, জনসংখ্যা বেশি, তাই গ্রামগুলো শহরে উন্নীত করা হবে।
বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
এ ছাড়া বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না বলেও জানান সরকারপ্রধান।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে যদি প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে যেকোনো অর্জনই সম্ভব মন্তব্য করে তিনি বলেন, শতকরা ৯০ ভাগ উন্নয়ন প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে করছি। এটা যেন অব্যাহত থাকে।
পরপোকারী প্রচারবিমুখ মানুষকে খুঁজে বের করে পুরস্কৃত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে পারাটা সম্মানের জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বহুদিন পরে অফিসে আসতে পেরেছেন। এতদিন অনলাইনে কাজ করেছেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন এবং তৎকালীন ভারত সরকার ও জনগণের অব্দান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানকে ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে এবার ছয়জন স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদদীন আহমেদ, মরহুম মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস এবং মরহুম সিরাজুল হক।
‘চিকিৎসাবিদ্যা’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম। ‘স্থাপত্যে’ মরহুম স্থপতি সৈয়দ মঈনুল ইসলাম স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।
‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’ ক্ষেত্রে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট।
এ ছাড়া শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ দেয় সরকার।
‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।
বিএ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০