পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার চাটমোহর ও আটঘরিয়া পৌরসভা কর্তৃক অবৈধভাবে সিএনজি অটোরিক্সা চালক-মালিকদের কাছ থেকে টোল আদায়ের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে সিএনজি অটোরিক্সা মালিক-শ্রমিক সমিতি। গত বুধবার (১৮ এপ্রিল) থেকে হঠাৎ করেই এই ধর্মঘট শুরু হলে যাতায়াতে চরম দূর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
সিএনজি অটোরিক্সা চালক রানা হোসেন ও কবির হোসেন জানান, পহেলা বৈশাখ থেকে চাটমোহর পৌরসভা সহ আশপাশের বিভিন্ন পৌরসভার নামে তাদের নিয়োগকৃত লোক দ্বারা সিএনজি অটোরিক্সা প্রতি ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। এর আগেও টোল আদায় হলে সিএনজি মালিক শ্রমিক সমিতি অবৈধ টোল আদায়ের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়। পরে টোল আদায় বন্ধ হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। কিন্তু পহেলা বৈশাখ থেকে আবারো চাটমোহরসহ বিভিন্ন পৌরসভা কর্তৃক টোল আদায় শুরু হলে তার প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিএনজি মালিক শ্রমিক যৌথ সমিতি। এদিকে ধর্মঘট চলায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। অটোবাইক, অটোভ্যানে বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। কারণ বাস সংকটে ও দ্রুত যাতায়াতে যাত্রীদের অন্যতম ভরসা এখন সিএনজি অটোরিক্সা। সেই কারণে দ্রুত সমস্যার সমাধান চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, টেক্সিক্যাব/অটোরিক্সা যৌথ মালিক সমিতির সভাপতি আব্বাস আলী বলেন, চাটমোহর ও আটঘরিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে চালকদের কাছ থেকে। চাঁদা না দেয়ায় চালকদের অনেক সময় মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদেই মুলত পাবনা থেকে ঈশ্বরদী রুটে, পাবনা থেকে আটঘরিয়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর রুটে সিএনজি অটোরিক্সা চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন চালক শ্রমিকরা।
পাবনা জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও মিশুক শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, পাবনায় দশটি পৌরসভা। একদিনে একজন চালক সব পৌরসভার মধ্যে গাড়ি চালাতে যায়, তাহলে দশ টাকা করে নিলে কত খরচ হয় ভেবে দেখুন। চালক শ্রমিকরা চলবে কি করে। আমরা বিষয়টি নিয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ওইসব এলাকায় অবৈধ চাঁদা বন্ধ না করা পর্যন্ত সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর পৌরসভার মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পৌরসভার আয় বৃদ্ধির জন্য নিয়ম নীতি মেনে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইজারা দিয়ে সরকারের রাজস্ব খাতে টাকা জমা করা হয়। যারা ইজারা নিয়েছেন হয়তো তারা এ টাকা উত্তোলন করছেন। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে যাত্রী দূর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, লিখিত অভিযোগ পাবার পর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আটঘরিয়া পৌরসভায় টোল আদায় বন্ধ করা হয়েছে। চাটমোহর পৌরসভার বিষয়ে আলোচনা চলছে। আশা করি সেখানেও টোল আদায় বন্ধ হবে এবং সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল শুরু হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০