রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ওসি ফারুক হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। এই নিয়ে থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। তবে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয় গুলো ওসি ফারুক হোসেন অস্বীকার করেছেন।
তিনি চলতি বছরের গত ২ ফেব্রুয়ারী পুঠিয়া থানায় যোগদান করেন। অবশেষে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার একজন উপপরিদর্শক বলেন, ওসি ফারুক হোসেন এই থানায় যোগদানের পর স্থানীয় ক্ষমতাসিন দলের একজন রাজনৈতিক নেতার পক্ষ নিয়েছে। আর অপর পক্ষের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরন করেছে। সেই অভিযোগ পুলিশ সদর দপ্তরে গেছে।
অপরদিকে বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমিতে পুকুর খনন করার সুযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মাদক কারবার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সেই সাথে তিনি যোগদানের পর আবাসিক হোটেল গুলোতে দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকা দেহ ব্যবসা ও মাদকের আড্ডা পুনরায় চালু হয়েছে। তিনি বলেন, এসকল ঘটনাসহ আইনশৃংখলার অবনতি ঘটেছে।
এ বিষয়ে ওসি ফারুক হোসেন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অফিস আদেশে তাকে এখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর আগামি দুই একদিনের মধ্যে টুরিস্ট পুলিশে যোগদান করবেন তিনি। সুবিধা নিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খননের সুযোগ করে দেয়া, রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করা ও আইনশৃংখলার অবনতির কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে মিথ্যা ও গুজব জড়ানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) রাজিবুল হাসান বলেন, ওসি ফারুক হোসেনকে পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে এখান থেকে প্রত্যাহার করে টুরিস্ট পুলিশে পদায়ন করা হয়েছে। আর ঠিক কি কারণে প্রত্যাহার হয়েছেন তা আমাদের জানা নেই।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০