নিজস্ব প্রতিবেদক : ট্রলিম্যানদের দৌরাত্ম্য কমাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সেবায় জরুরী বিভাগে পৃথকভাবে রোগী বহনকারী ট্রলির ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। রোগী আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রলি ম্যানরা রোগীর স্বজনদের টাকা নেয় এমন অভিযোগ উঠার পর থেকে কর্তৃপক্ষ আলাদাভাবে রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রলিতে করে রোগী নিয়ে যাওয়া ও আসার জন্য এই ব্যবস্থা করেছে। গত শনিবার ১৯ অক্টোবর থেকে প্রাথমিকভাবে ১৫ টি ট্রলি দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। জরুরী বিভাগের গ্যারেজের পাশেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যবস্থা চালুর পর থেকেই সাড়া পড়েছে রোগীর স্বজনদের মধ্যে। রোগীর
স্বজনরা ট্রলিম্যান বাদ দিয়ে এখান থেকেই রোগী আনা-নেওয়া শুরু করেছে।
রোববার সরজমিনে রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখায় যায়, একজন কর্মচারী ও আনসার সদস্যের মাধ্যমে রোগীর স্বজনের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নোট করে এবং ১০০ টাকা (ফেরতযোগ্য) সিকিউরিটি নিয়ে ট্রলি দেওয়া হচ্ছে। যে টাকা ট্রলি কাউন্টারে জমা দেওয়ার সাথে সাথে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। কার্যক্রম নতুন চালু হওয়ার কারণে তেমন ভিড় না হলেও রোগীরা ট্রলিম্যানদের বাদ দিয়ে এখান থেকেই ট্রলি নিচ্ছেন। আবার ট্রলি জমা দিয়ে টাকা ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। এ কার্যক্রম চালু হওয়ার কারণে রোগীদের আর ট্রলিম্যানদের উপর
নির্ভর করতে হবে না। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রলি নিতে পারবেন। রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ট্রলিম্যান ওয়ার্ডে রোগী নিয়ে গিয়ে স্বজনদের থেকে টাকা দাবি করে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনেক সময় রোগীরা প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রলি পায় না। রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী কাঙ্খিত সেবার কথা মাথায় রেখেই এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেখানে ১৫টি ট্রলি রাখা হয়েছে। আরো ১০টি যোগ হবে। চাহিদা বাড়লে সেখানে ট্রলির সংখ্যাও বাড়ানো হবে। কেউ যাতে ট্রলির জন্য হয়রানি না হয় সেজন্য এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে ট্রলিম্যানদের দৌরাত্ম্য কিছুটা কমবে। ২৪ ঘণ্টাই এ সেবা চালু থাকবে। ট্রলি যাতে জরুরী বিভাগে আবার পৌঁছে দেয় এ জন্য সিকিউরিটি হিসেবে ১০০ টাকা
জমা নেওয়া ও নাম ঠিকা এবং মোবাইল নম্বর নোট করা হয়। ট্রলি জমা দিলে টাকা ফেরত দেওয়া হয়। তবে কারো কাছে টাকা না থাকলে ৫০ টাকা এমনকি বিনামূল্যে নাম ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করে ট্রলি দেওয়া হয়। এ কার্যক্রম চালু হওয়ার পর আর রোগীর স্বজনদের ট্রলিম্যানদের আশায় থাকতে হবে না। প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রলি ব্যবহার করতে পারবে তারা।
উল্লেখ্য, ট্রলিম্যানরা দীঘদিন ধরে ট্রলিতে রোগী বহন করে নিয়ে যাওয়ার পর স্বজনদের কাছে টাকা নেয়। এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের হলেও কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। রোগীদের হয়রানি কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
আর/এস