ওমর ফারুক :
পবিত্র মাহে রমজানের আগেই রাজশাহী মহানগরীতে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়েছে। এতে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। বুধবার সরজমিনে নগরীর বাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দু’দিন আগেও রাজশাহী মহানগরীর বাজারগুলোতে যেসব সবজির দাম নাগালের মধ্যে ছিল সেসব সবজির দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে দুই থেকে তিন গুণ।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা রমজানকে কেন্দ্র করে ইচ্ছা করেই সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি বছরই ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গত দু’দিন আগেও নগরীর বাজারগুলোতে করলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকা কেজিতে, পটল ৩০ টাকা কেজি থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ২৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, আলু ১৪ টাকা থেকে ২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, কুমড়া জালি ২৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা। এ ছাড়া পাট শাক ও লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়ে গেছে। অন্যদিনের তুলনায় এদিন মাছও বেশি দামে বিক্রি হয়। সবকিছুর দাম লাগাম ছাড়া হলেও কর্তৃপক্ষের কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা।
নগরীর কোর্ট বাজারে সবজি কিনতে আসা রাহুল নামের এক ক্রেতা বলেন, আমি গত দু’দিন আগেও সবজি কম দামে কিনেছিলাম। আজ বাজার করতে এসে দেখি প্রত্যেকটা সবজির দাম দ্বিগুণ হারে বেড়ে গেছে। আমরা কম আয়ের মানুষ। আমরাতো এত দামে কিনে সবজি খেতে পারবো না। তাই সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম তিনি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সেলিম নামের অপর ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, কম আয়ের মানুষের কথা চিন্তা না করেই যেভাবে সব জিনিসের দাম বাড়ানো হয় তা ঠিক না। সরকারের উচিত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কম দামে বিক্রি করা হয়। যাতে কম আয়ের মানুষেরা রমজানের রোজা ভালভাবে করতে পারে সেজন্য সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উঠিত।
তবে ইচ্ছামত দাম বাড়ানোর কথা অস্বীকার করে রাজশাহীর এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া এখন সবজির টানাপড়েন বাজারে তাই দাম বেড়েছে।
পাইকারি সবজি বিক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, বাজারে সবজির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। এটাতে আমাদের কিছু করার নেই।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে