খবর২৪ঘণ্টা স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াই করে মাত্র ২৮ রানে হেরে গেছে টাইগাররা। তবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান বিশেষ করে টেল এন্ডারদের লাড়াই ছিলো চোখে পড়ার মত। কিন্তু লড়াই করেও কেন ভারতে ধরাশায়ী করতে পারলো না শাকিবরা না তার কিছু কারণ খুঁজে বের করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার। তারা বলছে,‘শাকিব যখন আউট হলেন, প্রায় সকলেই ধরে নিয়েছিলেন ভারত ম্যাচ জিতেই গিয়েছে। কিন্তু হাল ছাড়েননি সইফুদ্দিনরা। শেষ রক্ষা না হলেও তদের মরিয়া লড়াই মনে রাখবে ক্রিকেট বিশ্ব।’
পত্রিকাটির মতে টইগারদের হারের কারণগুলো হলো:
টসে হারা
টস ভাগ্য বাংলাদেশের বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। স্লো পিচে টস জিতলে ব্যাটিং নিশ্চয়ই করতেন মাশরফি। তাতে রান তাড়া করতে গেলে উল্টো বিপদে পড়ত ভারত।
রোহিতের ক্যাচ মিস
কথায় বলে ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’। মঙ্গলবার সেটি আবার প্রমাণ করলেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল। ভারতের পঞ্চম ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের শর্ট বলে পুল করেছিলেন রোহিত শর্মা এবং ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন তামিমকে। অথচ বুকের ওপর থাকা বলটা মিস করলেন বাউন্ডারিতে থাকা তামিম। রোহিতের ক্যাচ ফেলে দেয়ার বিরাট মূল্য দিতে হল বাংলাদেশকে। ৯ রানে জীবন ফিরে পাওয়া রোহিত করলেন ১০৪।
বাজে বোলিং
কালকের ম্যাচে সাকিব আর মোস্তাফিজ ছাড়া বাংলাদেশের বোলাররা ভালো বল করেনি। বিশেষ করে অধিনায়ক মাশরাফি এবং সাইফুদ্দিন বল হাতে প্রচুর রান দিয়েছেন রোহিত ও রাহুলকে। আনন্দবাজার মনে করছে, শুরুতে মুস্তাফিজুরকে আনলে হয়ত বোলিংয়ে এই সমস্যা হত না।
মেহেদির বাদ পড়া
টাইগারদের অন্যতম স্পিন বোলার মেহদি হাসান মিরাজকে ম্যাচের বাইরে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। তাদের এই সিদ্ধান্তকে ভুল হিসাবে দেখছে পত্রিকাটি। তারা বলছে, শাকিবের স্পিনে হাঁসফাঁস করা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের হয়তো ঘূর্ণির জাদুতে বিপর্যস্ত করতে পারতো মিরাজ।
মাহমুদুল্লার ইনজুরি
কালকের ম্যাচে মাহমুদুল্লার ইনজুরিও ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। আনন্দবাজারের মতে, মোসাদ্দেকের বদলে মাহমুদুল্লা থাকলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত।
বড় পার্টনারশিপ করতে না পারা
বড় রান তাড়া করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নেয় পার্টনারশিপ। বাংলাদেশ সেই বড় পার্টনারশিপ গড়তে পারল না। সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ হল সাব্বির-সইফুদ্দিনের ৬৬ রানের।
অধিনায়কের অপরিণত ভূমিকা
ভারতের কাছে অল্প রানে হারের জন্য অধিনায়ক মাশরাফিকেও দায়ী করেছে পত্রিকাটি। তাদের মতে, মাশরফির ব্যাট হাতে আরেকটু পরিণত ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল। সইফুদ্দিন যেখানে এত ভাল খেলছিলেন, সেখানে তাকে স্ট্রাইক না দিয়ে ঠিক করেননি বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। তিনি তো জানতেন তার পরে ব্যাট করতে আসবেন রুবেল আর মুস্তাফিজুর।
রুবেল-মুস্তাফিজের অসতর্কতা
রুবেল তো জানতেন বিপরীতে রয়েছেন সইফুদ্দিন। বুমরা যে ইয়র্কার করতে পারেন তা সবাই জানেন। রুবেল একটু সতর্ক হলে সাইফুদ্দিন পরের ওভারে পেতেন শামিকে। হয়ত বদলে যেত ম্যাচের রং।
তাদের মতে, একই কথা প্রযোজ্য মুস্তাফিজুরের ক্ষেত্রেও। বিশ্বের এক নম্বর বোলার যে তাকে ইয়র্কার দেবেন, সেটা প্রায় সবাই জানতেন। বুঝলেন না শুধু বল হাতে ভারতকে পিষে ফেলা ফিজ।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০