1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
জন্ম নিবন্ধনের ফরম জমা দিতে এসে রামেক হাসপাতালে হয়রানির শিকার অভিভাবকরা! - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন

জন্ম নিবন্ধনের ফরম জমা দিতে এসে রামেক হাসপাতালে হয়রানির শিকার অভিভাবকরা!

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিশুর জন্ম নিবন্ধনের ফরম জমা দিতে এসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন অভিভাকরা বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকদের কেউ কেউ দুই/তিন মাসের বেশি সময় ধরেও ঘুরছেন। এরপরও তারা পরিচালকের একটি স্বাক্ষর পাচ্ছেন না বা তাদের জন্ম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পারছেন না। আবার পরিচালকের কাছে স্বাক্ষর নেওয়ার আগে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াতেও অন্যান্য কর্মচারীর কোন ধরণের সহায়তা পাচ্ছেন না।

 

সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় জন্ম নেওয়া শিশুদের বয়স ৫ বছরের বেশি হলে তাদের রামেক হাসপাতালে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের অন্তর্ভূক্ত করা হবে। এমন নিয়মের কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে রামেক হাসপাতালে ডিএনএ টেস্টের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন অভিভাবকরা। এক্ষেত্রে তারা কর্মচারীদের তেমন সহায়তা পাচ্ছেন না।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নেওয়া আবেদন পত্র ও টিকা কার্ড জমা দেওয়ার পর পরবর্তী সময়ে শিশুকে নিয়ে আসতে বলা হয়। কিন্ত এ প্রক্রিয়াটিতেই কোন কোন অভিভাবককে ২/৩ মাস পর্যন্ত ঘুরতে হচ্ছে। তারপরও কোন কাজ করে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে হাসপাতালে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

 

আগের আবেদনের কাজ না এগোনোর কারণে বর্তমানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন ঘোষণা ছাড়াই আবেদন ফরম জমা নেওয়ার কাজই স্থগিত করে দিয়েছে।
যার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে হাসপাতালে আবেদন নিয়ে আসা অভিভাবকরা ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।

 

রাজশাহীর পবার নওহাটা পৌরসভা থেকে এরশাদ নামের এক অভিভাবক অভিযোগ করে জানান, আবেদন ফরম নিয়ে তিনি গত ৩ মাস ধরে হাসপাতাল অফিসে ঘুরছেন। তারপরও তিনি ফরম জমা দিতে পারেন নি। তাকে ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখে ডাকা হয়। সেদিন আসলে তাকে পরের দিন ২৮ তারিখ ডাকা হয়। সেদিন এসেও কোন কাজ করতে পারেন নি।

 

তিনি তিনি আরো অভিযোগ করেন, ফরম নিয়ে আসলেই কর্মচারীরা শুনে না শোনার ভান করে ঘোরাচ্ছে। কোন কাজ করে দিচ্ছে না। তাই তিনি বিষয়টির দিকে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
তানোর উপজেলার প্রকাশনগর থেকে আসা মোস্তফা নামের এক অভিভাবক অভিযোগ করে জানান, তিনি ফরম জমা দেওয়ার জন্য গত ১ মাস ধরে ঘুরছেন। তারপরও তিনি ফরম জমা দিতে পারেন নি। তাকেও ঘোরানো হচ্ছে। একই এলাকার বাসিন্দা মাহবুব একই অভিযোগ করেন।

 

মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট থেকে আসা ভোলা নামের এক অভিভাবক অভিযোগ করে জানান, তিনি গত দুই মাস ধরে ঘুরছেন। তাকেও বার বার ডেট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোন কাজের কাজ করে পাচ্ছেন না। তাই তিনি বিষয়টির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়ার আহবান জানান।
শুধু এরাই নয়। আরো প্রায় অনেক অভিভাকেরই একই অভিযোগ। তারা আবেদন ফরম পুরণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন সহায়তা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন , কোন অফিসেই এত ঘুরতে হয় না। যত হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে।

 

এদিকে, প্রথমবারের মতো ফরম জমা দিতে আসা লোকজন অভিযোগ করে জানান, ফরম জমা নেওয়া হচ্ছে না সেই ঘোষণা আগেই দেওয়া উচিত ছিল। কিন্ত বিনা ঘোষণায় তারা ফরম জমা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ জন্য তারা ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।

 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
তবে এর আগে তিনি বলেছিলেন, মোবাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন না। সরাসরি সাক্ষাতের জন্য গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি জরুরি মিটিংয়ে ছিলেন বলে জানানো হয়।

 

খবর২৪ঘণ্টা/এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST